হস্ত শিল্পের কাজে ব্যবহার হচ্ছে কলা গাছের বাকল থেকে তৈরি সূতা

লাল দর্পণ।। বন্যায় কলাগাছের ভেলা ছিল বন্যা কবলিত অঞ্চলের একমাত্র বাহন। কলার বাকলে চড়ে টেনে হিচড়ে নিয়ে খেলা করেছে দুরন্ত শিশুরা । সেই কলা গাছের বাকল থেকে সূতা তৈরি করে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে হস্ত শিল্পের কাজে। তৈরি হচ্ছে ব্যাগ, ভ্যানেটি ব্যাগ , খেলনা, শো-পিছ। বগুড়ায় তৈরি এই সব রফতানি যোগ্য পণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় কলার বাকল থেকে সূতা তৈরি হচ্ছে। সেই সূতা উৎপাদনের পর তার বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈব সার।

বগুড়ায় কলা গাছের বাকল (ছাল) থেকে আঁশ উৎপাদন করে সূতা তৈরি করে নানা রকমের হস্ত ও শিল্পজাত যাচ্ছে বিদেশে । বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অর্জনপুর গ্রামে মেসার্স বকুল ফাইবার এন্ড ভার্মি কম্পোষ্ট প্লান্টস স্থাপন করা হয়েছে। সাধারণত কলা চাষিরা এক বার কলার ফলন দেয়ার পর গাছ কেটে ফেলে দেয়। কিন্তু এ পরিত্যক্ত কলা গাছের বাকল থেকে সূতা তৈরি করে বিভিন্ন হস্ত শিল্পজাত পণ্য, খেলনা ভ্যানিটি ব্যাগসহ নানা পণ্য উৎপাদন করে ইউরোপ ও আমেরিকায় রফতানি করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

টিএমএসএস এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস জানান, প্রথমে কলা গাছের বাকল থেকে যে হস্তশিল্প তৈরি করা যায় এমন চিন্তা প্রথম আসে টাঙ্গইল জেলার মধুপুরের আনোয়ার হেসের নিকট থেকে। বিক্ষিপ্তভাবে তিনি এ আঁশ থেকে সূতা তৈরি করেন। কলার বাকল থেকে তিনি সূতা তৈরির বিষয়টি মাথায় আনেন। কিন্তু এ সূতা দিয়ে যে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করা যায় সে বিষয়টি তার মাথায় আসেনি।

সেটাকে টিএমএসএস এর সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রোজেক্ট (এসইপি) প্রকল্পের ফাইবার প্রোডাক্টশন প্লান্টের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ পায়। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় বেশি কলা উৎপাদন হয়। তাই তারা শিবগঞ্জ উপজেলায় চাষিদের পরিত্যক্ত কলাগাছ কাজে লাগিয়ে তা থেকে ফাইবার তৈরির মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব ভ্যানিটি ব্যাগ, শো পিসসহ অন্যান্য হস্তশিল্প পণ্য তৈরি করে তা দেশ বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্্রা অর্জন করার কথা জানান প্রকল্পের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা।

টিএমএসএস এর উপ-নির্বাহী পরিচালক-৩ মোঃ সোহরাব আলী খাঁন জানান, শিবগঞ্জ উপজেলা উত্তর বঙ্গের একটি কলার হাট তাই এখানে এ জাতীয় শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে যা টিএমএসএস তাদের সুবিধাভোগীদেরকে এ জাতীয় শিল্প উদ্যোক্তাকে উদ্বুদ্ধ করে প্রযুক্তি ও পুঁজি উভয় ধরনের সহায়তার মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব টেকসই ব্যবসা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অঞ্চলের কলা চাষিদের ক্ষৃদ্র ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। শুথু তাই নয় চাষিদের বিভিন্ন জাতের কলার জাতও প্রদান করা হচ্ছে।

সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস জানান, কলা চািষদের এ কাজে সম্পৃক্ত করে অর্থনীতির চাকা সচল করা সম্ভব হবে। কলা গাছের বৈজ্য থেকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। এতে জৈব সারের চাহিদও পূরণ হবে। কলাচাষিরা কলার বাগান হতে কলা কাটার পর কৃষকরা কলা গাছ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যেত সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব কলা গাছ পঁচে পরিবেশ দূষণ হতো এ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পরিবেশ বান্ধবভাবে কলাগাছ থেকে আঁশ বা ফাইবার তৈরি করে একদিকে যেমন আয় করা যাবে অন্যদিকে পরিবেশ দূষণও রোধ হবে। বক্তারা আরও বলেন কলাগাছ নিয়ে কৃষকদের আর চিন্তার কোন কারণ নেই পরিত্যক্ত কলাগাছ বিভিন্ন ফাইবার তৈরির কারখানায় বিক্রি করতে পারবে। এসব কলাগাছ থেকে শুধু ফাইবার নয় ফাইবার তৈরি করার পর অবশিষ্ট বর্জ্য দিয়ে ভার্মি কমোষ্ট তৈরি করা হবে। এতে করে পরিবেশ বান্ধবভাবে পরিত্যক্ত কলাগাছ কাজে লাগবে এবং মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, কলাগাছ নিয়ে কৃষকদের আর চিন্তার কোন কারণ নেই পরিত্যক্ত কলাগাছ বিভিন্ন ফাইবার তৈরির কারখানায় বিক্রি করতে পারবে। গাছ পঁচে পরিবেশ দুষণ হতো এ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পরিবেশ বান্ধবভাবে কলাগাছ থেকে ফাইবার তৈরি করে একদিকে যেমন আয় করা যাবে। অন্যদিকে পরিবেশ দূষণও রোধ হবে। কলাগাছ নিয়ে কৃষকদের আর চিন্তার কোন কারণ নেই। পরিত্যক্ত কলাগাছ বিভিন্ন ফাইবার তৈরির কারখানায় বিক্রি করতে পারবে। এসব কলাগাছ থেকে শুধু ফাইবার নয় ফাইবার তৈরি করার পর অবশিষ্ট বর্জ্য দিয়ে ভার্মি কমোষ্ট তৈরি করা হবে। এতে করে পরিবেশ বান্ধবভাবে পরিত্যক্ত কলাগাছ কাজে লাগবে এবং মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউেন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক সহায়তায় টিএমএসএস সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রোজেক্ট (এসইপি) প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। (সুত্র: বাসস)

print

Share This:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য নিউজ সমূহের শিরোনাম