
লাল দর্পণ।। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাদী ও আসামীর কল রেকর্ড নিয়ে বিপাকে হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন নবী। গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কল রেকর্ড ভেসে রেড়াচ্ছে। অনেকে বলছেন রেকডিং এডিট করে অভিযোগ তুলে ওসিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে একটি চক্র।
জানা যায়, গত ৩ মার্চ সিন্দুর্না ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলেন আসামীর পুত্র মাহাফুজুর রহমান বিপ্লব নামে এক ব্যাক্তি, সেখানে বাদীকে টাকা দিয়ে মামলা থেকে নাম বাদ দিতে জোর করেন। কিন্তু বাদী বলেছেন কোন টাকা লাগবেনা, অথচ ওই অডিও রেকর্ড এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সেই কল রেকর্ডের সুত্র ধরে বিভিন্ন ভাবে লেখলেখি হচ্ছে। যা একটি মিথ্যা বানোয়াট বলে জোর দাবী করেছেন মামলার বাদী আব্দুর রহিম।
অডিও কল রেকর্ডটি শোনা যায়, কথোপকথনটি ছিলো আসামীর ছেলে বিপ্লব ও বাদী আব্দুর রহিমের মধ্যে। ওই কল রেকর্ডকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বলছেন ওসিকে ফাঁসানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে আওয়ামীলীগের একটি চক্র।
গত ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে সাংবাদিক আঃ রহিম আওয়ামীলীগের কতিপয় ব্যক্তি দ্বারা হামলার শিকার হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ০৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে হাতীবান্ধা থানায় মামলা হয়। সেখানে মামলার আসামী সিন্দুর্না ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের নাম রয়েছে। সেই মামলায় নাম থাকায় তার ছেলে বিপ্লব ও বাদী আঃ রহিমের সাথে ফোনে কথোপকথন হয়। ওই কল রেকর্ডে ওসির কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। কল রেকর্ডটি আসামীর ছেলে এবং বাদী আঃ রহিমের।
এ বিষয়ে বাদী আঃ রহিম বলেন, কল রেকর্ডটি ছিল আমার আর আসামী পক্ষের। এখানে ওসি আসবে কেন? ওসিকে ফাঁসাবেন কেন? ওসি তো আসামী বা আমার কাছে কোন টাকা চায়নি।
স্থানীয় বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওসিকে জড়িয়ে একটি কল রেকর্ড ছড়ানো হয়েছে। বাহিরে কে কি বললো সেখানে ওসি জড়িত আছেন কিনা সেটা দেখার বিষয়। আড়ালে অনেকে অনেক কিছু বলতেই পারেন।
উপজেলার সিঙ্গীমারী ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মজনু হোসেন জানান, আওয়ামীলীগের কতিপয় ব্যক্তিকে বাঁচাতে ওসির বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করছেন একটি মহল।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহামুদুন নবী বলেন, অন্যকারো অডিওতে কি বলেছে সেখানে আমার দোষ কোথায়। আমি কারো কাছে টাকা নিয়ে থাকলে প্রমাণ দেখাতে হবে। অসত্য সংবাদ পরিবেশন কারো কাম্য নয়। তবে ওই কলরেকর্ডটি নিয়ে আমি একটি জিডি করেছি।